সংবাদচর্চা রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন আগের চেয়ে ৭০ গুন বেশী আঘাত করতে সক্ষম। এজন্য আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রার্থনা করি যেন আবারো পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠে এবং একটি সমৃদ্ধশালী ও সুখী বাংলাদেশ গড়ে উঠে। আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে , মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শহরের দুটি গির্জায় সংক্ষিপ্ত আয়োজনের মধ্য দিয়ে করোনামুক্তির প্রার্থনায় উদযাপিত হয় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিন। সকালে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। দুপুরে কেক কাটা হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নিজের বক্তব্যে একথা বলেন খোরশেদ। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, আমি গর্বিত এবং ভাগ্যবান কারণ নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে দুটি গির্জা রয়েছে আর এ দুটি গির্জাই আমার ওয়ার্ডে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিভিন্ন উৎসবে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি এবং সকাল থেকেই আমরা এখানে ছিলাম। আমার ওয়ার্ডেই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কবরস্থান, মুসলিমদের কবরস্থান, হিন্দিদের শ্মশান একসাথে একই বাউন্ডারির মধ্যে। এক্ষেত্রে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করি কারণ আমরা সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। তিনি আরো বলেন, পৃথিবী যেন পুনরায় শান্তিময় হয় সেজন্য আপনারা সকলে প্রার্থনা করবেন। ধর্ম নিয়ে যেন আমরা দলাদলি না করি। প্রকৃত ধার্মিক কখনো অন্য ধর্মকে ছোট করে দেখতে পারেনা। ধর্ম মানুষকে আলোকিত করে, প্রকৃত মানুষ হিসেবে তৈরী করে। আমি নারায়ণগঞ্জবাসী দেশবাসীকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাই। জানা যায়, ‘খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী দুটি গোত্রের (ক্যাথলিক ও ব্যাপ্টিস্ট) জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরে দুটি গির্জা রয়েছে। ক্যাথলিকদের জন্য শহরের ১৩৫ বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জা ও ব্যাপ্টিস্টদের জন্য সিরাজউদ্দৌলা সড়কে ব্যাপ্টিস্ট চার্চ। ব্যাপ্টিস্ট চার্চটি ১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। চার্চ প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রেভারেন্ড রামচরণ ঘোষের নাম বিশেষভাবে উল্লেযোগ্য। এ চার্চে ধর্মীয় আচার ছাড়াও বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজকর্মও হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে চিকিৎসা সেবা, মাতৃসদন, শিক্ষাদান উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে সাধু পৌলের গির্জা ১৯৪৯ সালে ইতালিয়ান ফাদার জন সে ক্যাথলিক গির্জা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি গির্জার নাম দেন সাধু পৌলের গির্জা।’ এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, ১৭ বছর ধরে বড়দিন আসলেই সিটি করপোরেশনের সহায়তায় দুটি গির্জাকে রঙ করে দেয়া, তোরণ নির্মান এবং আলোকসজ্জা করে দেয়া হয়। এ বছরও তা করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশার ঔষধ ছিটানো হয়েছে।